চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার (পেপারব্যাক)
চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার (পেপারব্যাক)
৳ ২৬৫   ৳ ২২৫
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত  ছাড়

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

চন্দ্রলেখার মৃত্যু পূর্ব মুহূর্তে...

একজন বন্ধু আছেন, যিনি প্রকাশক। ঠিক যেমনটা প্রথাগত প্রকাশকেরা হয়, কিন্তু কোনো বইয়ের দোকান নেই। আবার সাহিত্যের একজন প্রবল অনুরাগীও। তবে বইটা একেবারে মাস্টারপিস। তাঁর ‘Creative Publications’-এর কপি সবচেয়ে জনপ্রিয়, বিনা মূল্যে, কোনো রকম বাছ-বিচার ছাড়াই পরামর্শ দিয়ে থাকেন!

আমি বললাম, “আমরা নাসরীন জাহানের বংশধর।” প্রাচীন, তবে বইটার কী হবে? মানে, নিখুঁত নয়, কিন্তু অসাধারণ। অর্থপূর্ণ প্রকাশ। সে বলল, “সেবোল, ওকেদান।” তারপর সে জিজ্ঞেস করল, “নাসরীন জাহানের ‘চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার’ কেমন?” আমি বললাম, “ওটা তো আমি।” একটু থেমে আবার বললাম, “আকাশের মেঘ, নদী অথচ রুদ্রে আলোকিত নদী,” এবং আমার এক কন্যার নামই “চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার।”

একজন অদ্ভুত, অজানা মানুষ। আমি বুঝি না মিথ, পুরাণ, কিংবদন্তি, কল্পনা। সাহিত্যের এক অনন্য ধ্রুবতারা। আমি তাকে বললাম, “আমার নাম চন্দ্র। এক তথাকথিত জন্ম। সে এক অদ্ভুত প্রাণী। তার দেহ কাঠের তৈরি। কাঠঠোকরা নিঃশ্বাস নিতে পারে না। এক গল্পের মতো। আকাশে, জলে, সে কেবল মানুষ নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। সব ধর্মের মানুষ যখন চাঁদের আলো দেখে, তারা তাদের নিজ নিজ ধর্মের আলোই দেখে।”

সে বলল, “হে আমার প্রভু!” আজাদ যদি কোনো কিছু খুব খারাপভাবে দেখে, যদি কিছুই না বোঝে, তাহলে সে তো একেবারে অজ্ঞ!

আমি নিশ্চিত, সাহিত্যের পণ্ডিত পাঠকদের চেয়েও, তার মধ্যে এখনো এক বিস্ময় রয়ে গেছে, তার লেখায় এখনো সেই ম্যাজিক আছে, যদিও সে নিজে বুঝতে পারে না।

দীর্ঘিনাসের সাহিত্যে, ‘sublimity’ অর্থাৎ মহত্ত্ব বোঝানো হয় এমন এক উচ্চতায় যা মাপা যায় না। এটা সর্বোচ্চ নয়, তবে এটা উচ্চতর, যার গুরুত্ব অনুভব করার বাইরে। ‘চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার’ সে রকমই এক গল্প।

ঠিক সেই সময়, যখন নাসরীন জাহান উপন্যাসটি লিখছিলেন, এক প্রলয়ংকরী কুসংস্কারের ঝড় বিশ্বজুড়ে বইছিল। তিনি বাংলা ভাষায় ছিলেন সাবলীল। কেউ বলেন জাদু, কেউ বলেন মায়া। শহিদুল জহিরকে বলা হয় বাংলাদেশের সাহিত্যিক জাতির জনক।

তবে কেন সবাই পড়তে চায় এই ‘চাঁদের আলোয় মোড়া’ উপন্যাস?

কারণ এটি লাতিন আমেরিকার Magical Realism থেকে শুরু করে আমাদের বাংলা পুরাণ, সংস্কার ও লোককথার মিশেলে তৈরি এক নতুন সাহিত্যধারা।

সে সময়, পূর্বপুরুষেরা বলতেন, জন্মের সময় শত শত মানুষ মারা যাচ্ছিল... শুধু মৃত্যু, কঙ্কাল, ভয়াবহ পরিস্থিতি। তখন চাঁদের ঘরে রোগ।

চন্দ্রলেখার মৃত্যু সময়, একটি শিশুর মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছিল। ততক্ষণে সব শেষ। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

গল্পটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রথম যে পানির নিচে চাঁদের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায়, তার নাম গগোখর। তারাই চাঁদের সাথী।

এটাই সাপের বর্ণ, এটাই গোখরা উপাখ্যান, এটাই কোলাহল বিষিকা—বাংলার প্রাচীন লোকগাথার শরীরে এখানেই রূপান্তরের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

মার্কেজের “ভালোবাসা, সময় ও আমরা” গল্পটি যেমন রূপকথার মতো মনে হয়, আমাদের ক্ষেত্রেও এটি রূপকথাই, তবে রক্তাক্ত এক রূপকথা।

আমরা আমাদের পিতামহ-পিতৃপুরুষদের গল্প শুনে এসেছি। সুতরাং, নাসরীন জাহানের এই সফরের পরিণতি কী হবে?

সেজানায় চন্দ্রলেখার জন্ম এক বিস্ময়। ছয় মাস পর, স্বপ্ন-ঘরের পরিচালক এক মন্দিরের জলশয্যায় এসেছিলেন। অদৃশ্য আত্মারা রক্ষা করে চন্দ্রলিপি।

এটা আমাদের আশেপাশেই! তাই ‘চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার’ আমাদের লোকজ সংস্কৃতির অংশ। কৌশলগত দিক থেকে এটি চিরকালই আধুনিক। আত্মজ্ঞান।

একটি শিশুর দৃষ্টিতে বিশ্বকে দেখা। ঠিক যেমন বড় লেখকেরা একটি নতুন সৃষ্টির মাঝে আরেকটি নতুন সৃষ্টি খোঁজেন। তবে ‘চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার’ কেবল বিশ্লেষণ নয়। এটি একটি রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক চলচ্চিত্রও।

একশো শতাংশ, “এটাই বাংলাদেশ।” রাষ্ট্রের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। মানুষ যেন পোকামাকড়। এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল বহুদিন ধরে। গ্রামে ধর্ষণের কারণে শিশু মারা যায়। বাজারদর ভয়ংকর।

বাংলা চাষের বাইরেও চলে গেছে, কিন্তু কৃষি কোনো মূল্য পাচ্ছে না। কেউ আত্মহত্যা করছে, কেউ করছে সহিংসতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ছে। হাসিনা বলছেন, খালেদা স্বৈরতন্ত্রের রূপ। খালেদা বলছেন, হাসিনা শুধু বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা করেন।

এখানেই শুরু হয় চন্দ্রলেখার গল্প। সামরিক শাসন, শোষণ, গণতন্ত্র ধ্বংস, অর্থনৈতিক নীতির বিপর্যয়।

তবু এখনো এটি 'শক্তির ভূমি'। রাজা ছিলেন অত্যাচারী, যার শাসন জনগণের ওপর নির্যাতনের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছিল।

একজন পেশাজীবী পেশাদার পাওয়ার কর্পোরেশনের মাধ্যমে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন। বিশ্বব্যাপী সহায়তা কামনা করে উদ্বিগ্ন।

মিশন সফল হয়। ধনী রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা পাওয়া যায়। তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে এটি ছিল এক বাণিজ্য।

আজকের দুনিয়ায় 'ইয়াবা'র মানে কী? ইউরিপিডিসের “Morningbikamsoelektra” আর কলকাতার “Electra”র মিশেলে এটি এক চিরন্তন গল্প।

রলাঁ বার্থ যখন ‘লেখকের মৃত্যু’ ঘোষণা করেন, তখনই তো লেখনী জীবিত হয়।

লেখকের কথা বুঝিনি, যেমন তিনি নিজেও হয়তো বোঝেননি, এবার পাঠকের মানস বুঝে লেখা নিজেই অমরত্বের পথে এগিয়ে যায়।

তবে সমস্যা হচ্ছে, ‘চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার’ নামে এক কন্যাশিশুর বিশ্লেষণটা কঠিন হবে। কারণ গল্পটি পাল্টে গেছে।

এটা এক পরিবর্তনশীল দেশের গল্প।

চন্দ্রলেখার কাজ রহস্যে ভরা, রাজাদের ইতিহাস ও ওঝাদুর অবস্থানে। মানুষের গৌরব এবং রাণীর চারপাশে ছড়িয়ে থাকা গুঞ্জন।

বৃদ্ধ উন্মোচিত হবে, বিরোধী শত্রু ধ্বংস হয়েছে এই আঘাতে, এখন এই বিশ্বাস মানুষের মধ্যে গেঁথে যাবে।

তাহলে কেন না ব্যবহার করা? অপেক্ষা করো, সে ব্যবহার করবেই।

চন্দ্রলিপির কৌশলও ব্যবহৃত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের শত শত মানুষের দ্বারা। রাজনীতিতে। সব ধর্ম এতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এটাই কি চাঁদ? আমরা তো সেরা বন্ধু।

‘চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার’ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। গল্পে, বিষয়বস্তুতে, বর্ণনায়, নির্মাণে—এক কন্যা যেন দীর্ঘ চিন্তায় ডুবে আছে।

তবে এটা এক তরুণীর গল্প। তাই শেষমেশ আমি কৃতজ্ঞ চাঁদের প্রতি।

শুধু একটু, একেবারে শেষে…

"ইতিমধ্যেই অসমের মানুষ আতঙ্কে। ঢালু পাহাড়। দিগন্তে মেঘ জমেছে। চারপাশে নিস্তব্ধতা। অন্ধকার গাছের শরীরে একশো বিশ বছরের মৃতদেহ।"

এই কবিতার এক পংক্তিতে এর মানে কী?

নাসরীন জাহানের চমৎকার ভাষা—কি বাস্তব, কি অবাস্তব, কি কল্পনা, কি স্মৃতি—সবকিছুই যেন অলৌকিকভাবে মিশে গেছে।

সাবধানে প্রবেশ করো—‘চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তারে’।

শেষ।
মুম রহমান

Title : চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার
Author : নাসরীন জাহান
Publisher : ক্রিয়েটিভ ঢাকা পাবলিকেশন্স
ISBN : 9789848071519
Edition : 1st Published, 2022
Number of Pages : 116
Country : Bangladesh
Language : Bengali

নাসরীন জাহান ১৯৬৪ সালে ৫ মার্চ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি একজন বাংলাদেশী লেখক, ঔপন্যাসিক, এবং সাহিত্য সম্পাদক। আশির দশকের শুরু থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। উড়ুক্কু উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এই উপন্যাসের জন্য লাভ করেন ফিলিপ্‌স সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য লাভ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার।নাসরীন জাহান কৈশোর থেকে সাহিত্যচর্চার সাথে জড়িত।স্থবির যৌবন, বিচূর্ণ ছায়া, পথ, হে পথ, সারারাত বিড়ালের শব্দ গল্পগ্রন্থগুলো প্রকাশের পর তিনি তার প্রথম উপন্যাস লিখেন। তার রচিত প্রথম উপন্যাস উড়ুক্কু। উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন কায়সার হক। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৯৪ সালে ফিলিপ্‌স সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন।১৯৯৪ সালে প্রকাশিত তার দ্বিতীয় উপন্যাস চন্দ্রের প্রথম কলা।তার রচিত উপন্যাসের মধ্যে লি, ক্রুশকাঠের কন্যা, শঙ্খনর্তকী, ঈশ্বরের বামহাত উল্লেখযোগ্য।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]